আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাসেম সোলেমানি হত্যা নিয়ে মার্কিন-ইরান সংঘাত চরমে পৌছল। এবার ইরাকে মার্কিন সেনার ব্যবহৃত সেনাঘাটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আল আসাদ এবং ইরবিলে মার্কিন সেনা ও যৌথবাহিনীর দু’টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এতে কত জন প্রাণ হারিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতিই বা কত, তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। যদিও আত্মরক্ষার তাগিদেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
হামলার পরে সংবাদ মাধ্যমে জাভেদ বলেন, ওই দুই সেনাঘাটি থেকে আমাদের নাগরিক এবং আধিকারিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছিল। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের ৫১ নম্বর ধারা মেনে আত্মরক্ষার তাগিদে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না। কিন্তু যে কোনও রকম আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুত আমরা।
কাসেম হত্যার বদলা নিতে এলে ফল ভাল হবে না বলে দিন কয়েক আগেই তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের তরফে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে গোটা বিশ্বের মধ্যে মার্কিন বাহিনীই যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুসজ্জিত ফের একবার তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পর টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ইরাকে দু’টি সেনাঘাটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র দেগেছে ইরান। হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। মার্কিন বাহিনী গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুসজ্জিত।
সূত্র: আনন্দবাজার