ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা আর থাকতে পারবেননা। দলের ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের সুযোগ দেয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দলীয় সংসদ সদস্যদের উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ নিরুৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে আমরা একটা নির্দেশনা দিচ্ছি। গতকাল বৃহস্পতিবার আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যরা সভাপতি পদপ্রার্থী হন। আমরা এটা নিরুৎসাহিত করছি। উপজেলা পর্যায়ে সংসদ সদস্যদের আমরা অনুরোধ করছি, তারা যেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে না এসে, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের একটা সুযোগ করে দেন। কারণ তাদেরও অধিকার আছে। তারা এমপি হতে পারেননি, দলে নেতৃত্বও পাবে না, এটা তো হয় না।
আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলনে নতুন মুখ কারা আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ‘ডিসাইট’ করার মালিক আমাদের সভাপতি, এটা আমাদের গঠনতন্ত্রী ক্ষমতা দেয়া আছে। আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তিনি নির্ধারণ করবেন, কে আসবে দলে। আমাদের দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অপরিহার্য ব্যক্তি নয়। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা কেউই অপরিহার্য নই।
সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেত্রী চাইলে পরিবর্তন হবে। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। কারও কারও ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থী থাকতে পারে। সেখানে কোনো অসুবিধা নেই। আমি যদি মনে করি- আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ হতে পারবে না, এটা মুটেও ঠিক না। এটা ‘ডিসাইট’ করবেন নেত্রী। প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে।
আগামী জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত দলের কমিটির কলেবর বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটিতে ৮১ জনই থাকবে। আমাদের নেত্রী যেটা মনে করছেন- আপাতত কমিটিতে সংখ্যা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছে নেই। কোনো পদও বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বর্তমান কমিটিতেই একটা সদস্য ও দুইজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ খালি আছে।সেগুলো এই মুহূর্তে পূরণ হবে না। সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আমরা পুরো কমিটি করে ফেলব, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।