আতিকুর রহমান আজাদ, কালকিনি (মাদারীপুর): মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতশত একর কৃষিজমিতে অবাধে চলছে পুকুর তৈরি। আর একৃষি জমি নষ্টের হাত রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিন ও কৃষক সুত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর, কাজীবাকাই, বালিগ্রাম, সিডিখান ও এনায়েতনগর সহ উক্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমি নষ্ট করে মাটিকাটা ভেকু দিয়ে বেশী লাভের আসায় বড় বড় পুকুর তৈরি করছেন এলাকার প্রভাবশালী মহল।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, আমরা সাধারন কৃষক আমাদের কৃষিজমিও কম। আমরা আমাদের জমি এবং অন্যোর জমি লিজ নিয়েও কৃষিকাজ করে থাকি। আর এসব কৃষিজমি চাষ করে আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ তাদের ভরন পষন করে থাকি। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি বেশী লাভের আসায় কৃষিজমি খনন করে বড়বড় পুকুর তৈনি করছেন। সাধারন কৃষক বলে কিছু বলার সাহস পাইনা। তাই এখন শেষ ভরসা প্রশাসনের।
এ ব্যাপারে এলাকার কৃষিজমিতে পানি সেচ দেয়া ব্লক ম্যানেজার বলেন, আমরা একটি ব্লকে জমিচাষ করি একশত একর থেকে দুইশত একর। আর এখন একটি ব্লকে জমি আছে পাচঁ থেকে দশ একর এটুকু জমিতে পানি সেচ দিয়ে পোষায় না। একটি ব্লকে যে খরচ হয় তা এতো অল্পজমিতে পানি সেচ দিয়ে পোষাবে না। আমরাও এখন বিপাকে ব্লক ম্যানেজারী করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এ সব কৃষিজমিতে পুকুর করার কারনে কৃষিকাজ করা জমিই নাই বলেই চলে।
কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি জমি খনন করে পুকুর তৈরি করা যাবে না। যে ভাবেই হোক আমরা কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্দ করবো এবং আপনাদেরও সহযোগীতা চাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমি নষ্টকরে পুকুর তৈরি করা যাবে না। এ সব বন্দের অবশ্যই ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।