টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে সদর মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে মাজিদুর রহমান (২৭) নামে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই থানার (এসআই) শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ফলে মাজিদুর গুরুতর আহত হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। পরে চিকিৎসা শেষে পুনরায় থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান তার পরিবারের লোকজনরা।
মাজিদুর রহমান সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে মাজিদুর রহমানের চাচা কামরুজ্জামানের বাড়িতে চুরি হয়। পরে তিনি সদর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার ধলপুর এলাকা থেকে মাজিদুরকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ।
এবিষয়ে মাজিদুর রহমানের মা জানান,আমার ছেলে ঢাকায় সিএনজি চালায়। যেদিন কামরুজ্জামানের বাড়িতে চুরি হয় সেদিন আমার ছেলে ঢাকাতেই ছিলো। জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই চুরির বিষয়ে আমার ছেলে কিছুই জানেনা।পুলিশ তাকে অন্যায় ভাবে মারধর করেছে।
মাজিদুর রহমানের স্ত্রী তারা বানু বলেন,যে বিষয়ে আমার স্বামী কিছুই জানেনা। তাকে আটক করে এনে পুলিশ অন্যায় ভাবে নির্যাতন করেছে। যারা মাজিদুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও যে পুলিশ নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানান।
মাজিদুর রহমানের আত্মীয়রা জানান, ওই পুলিশ সদস্য বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাদীকে খুশি করতে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা ওই পুলিশ সদ্যসের শাস্তির দাবি করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন (তোফা) জানান, পুলিশ সদস্য শাহাদত হোসেন যদি অন্যায় ভাবে মাজিদুর রহমানকে নির্যাতন করে থাকে সেটি ঠিক করেনি। নির্যাতন করে থাকলে অবশ্যই তিনি অন্যায় করেছেন।
এসআই শাহাদত হোসেনের বলেন, চুরির মামলার পর আসামিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আসামিকে মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।
সবখবর/ আআ