মানিকগঞ্জ: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পরিবহন বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চাপ নেই। তবুও এ নৌরুট পারাপারে ভোগান্তির কমতি নেই সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের।
ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে আয়ের এক-তৃতীয়াংশ টাকাই চলে যায় খাবার ব্যয়ে। ফলে এ নৌরুট পারাপারে আগত এসব সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকার ট্রাক টার্মিনালে দেড় শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল।
খুলনাগামী ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম জানান, রোববার (২৯ নভেম্বর) রাত ১ টার দিকে ঘাট এলাকায় আসেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পাটুরিয়া ঘাটে অপেক্ষার পরে মিলছে নৌরুট পারাপারে সুযোগ। ঘাটে বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কম থাকলেও ট্রাক পারাপারের সুযোগ দেয় না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলে জানান তিনি।
আসলাম মিয়া নামে আরেক ট্রাক চালক বলেন, ভোগান্তি নিয়েই এ নৌরুট পার হতে হয়। তবে কখনও কখনও ট্রাক চালকদের এ ভোগান্তির যাত্রা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঘাট পারাপারের টিকিট পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-করপোরেশনের পাটুরিয়া ঘাট এলাকার সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, দিনের বেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপের কারণে সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো ঘাট পারের সুযোগ কম পায়। এ ছাড়া এই নৌরুটে ফেরির তুলনায় যানবাহনের বাড়তি চাপের কারণেও ঘাটে ট্রাক চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
তিনি বলেন, এ নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। আর শাহ আলী নামে একটি ফেরি বিকল হয়ে মেরামতে মধুমতি কারখানায় রয়েছে। সবশেষ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দেড় শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: সারাক্ষণ