লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুস্বাস্থ্যের জন্য শাক-সবজি ও ফলমূল দিনে পাঁচবার খাওয়া উচিত।কোন ধরনের ফল ভরাপেটে খেতে হবে, আর কোনগুলো যেকোন সময়ই খাওয়া যাবে-এ নিয়ে থাকে বিভ্রান্তি।
যেমন তিনবেলা- শাক-সবজি খেলে, দু’বার ফল খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি এভাবে বন্টন করা যায়—সকালের নাস্তায় সবজি, দুপুরে শাক ও সবজি এবং রাতে সবজি (সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল থাকবে)। এভাবে তিনবেলা সবজি এবং একবেলা (দুপুরে) শাক খাওয়া ভালো। অনেকের রাতে শাক খেলে হজমে সমস্যা হয়, তাই রাতে শাক না খাওয়াই ভালো।
টকজাতীয় ফল : ভিটামিন সি বা টকজাতীয় ফল যেমন আমলকি, লেবু, কমলা, মালটা, আঙুর ভরাপেটে খাওয়া উচিত।
এতে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে টকজাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। বিকেলেও এই জাতীয় ফল খাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস থাকলে : ডায়াবেটিস রোগীরা টকজাতীয় যেকোন ফল খেতে পারবেন (চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে)। তবে মিষ্টিজাতীয় ফল যেমন কলা, আপেল ও আম দিনে একটির বেশি খাওয়া উচিত না।
রাতে ফল খাবেন কি না : রাতে ফল খাওয়া যায় কি না-এ নিয়ে দ্বিমত থাকেই। যেমন কারো মতে রাতে ফল খাওয়া ক্ষতিকর। আবার অনেকে নিশ্চিন্তে রাতে ফল খান।
টকজাতীয় ফল রাতে খেলে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাতে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। টকজাতীয় ফল বিকেলের মধ্যেই খেয়ে ফেলা ভালো। আবার কিছু ফল রাতে বা দিনে-যেকোন সময়ই খাওয়া যায়।
যেমন পেঁপে, আম,তরমুজ ইত্যাদি। ঘুমানোর অন্তত ২/৩ ঘন্টা আগে ফল খেতে হবে। তবে ব্যক্তিভেদে শারীরিক সমস্যা, বিপাকপ্রক্রিয়া একেকরকম হয়। ফলে ব্যস্ততা না থাকলে যেকোন ফল দিনেরবেলায় খেয়ে ফেলাই ভালো।
পরিমিত পরিমাণে ফল খাওয়া উচিত : অনেকে মনে করেন, রাতে ফল খেলে ওজন বেড়ে যায়। আসলে তা নয়। কিছু ফল রাতেও খাওয়া যায়, তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। মনে রাখা ভালো, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের দিনে যেকোন দুটি ফল খাওয়াই যথেষ্ট।
গবেষণার ফলাফল বলছে, রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণে বেশি ফল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এজন্য ঘুমানোর অন্তত ২ ঘন্টা আগে ফল খেতে হবে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, রাতে ফল খেলে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘন্টা আগে খেতে হবে। আর ভরপেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল
খাওয়া উচিত না। খাওয়ার অন্তত ১ ঘন্টা পর ফল খাওয়া উচিত। কারণ খাওয়ার পরেই ফল খেলে খাবারের আগে ফল হজম
হয়ে যায়। ফলের পুষ্টিগুণ শরীরে দ্রুত পৌঁছে যায় এবং খাবারের অনেক পুষ্টিগুণ শরীরে শোষিত হয় না। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।
ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফাইবারসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। তাই সুস্থ থাকতে হলে ফল খেতে হবে নিয়মিত।