মানিকগঞ্জ: বন্যায় তিন বছর আগে ভেঙ্গে পড়েছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের একটি ব্রীজ। ওই ব্রীজ দিয়েই চলাচল করে পাঁচ গ্রামরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ। সরকারীভাবে ব্রীজটি মেরামত না করায় স্থানীয়দের উদ্যোগে ব্রীজের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সেতু। ওই সেতুদিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে স্থানীয় জনগন। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে ওই ব্রীজটি নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙে পড়ে।
বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল জানান, তিন বছর আগে বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে গেছে। ওই ব্রীজ দিয়ে জামালপুর, বাবুপুর, কচুয়া, খোদা নওদা ও ইজদিয়া গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। সম্প্রতি স্থানীয়দের উদ্যোগে ওই ভাঙ্গা সেতুর পাশে বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পায়ে হেটে কোন রকম চলাচল করা গেলেও সেতুদিয়ে পাড় হতে পারে না কোন যানবাহন।
একই গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, এই বাঁশের পুল দিয়ে কোন মালামাল আনা নেওয়া করা যায় না। অনেক পথ ঘুরে ভিন্ন পথে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়া করা হয়। যেকারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
ইজদিয়া গ্রামের মনসুর উদ্দিন, কচুয়া গ্রামের সুলতান মাতবর জানান, সরকার যদি আমাদের এই ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করে দেয় তাহলে আমাদের হাজার হাজার মানুষের অনেক উপকার হতো।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান জানান, ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজের স্থানে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেও ব্রীজের কাজ শুরু হবে। ব্রীজটি নির্মাণ হলে স্থানীয়দের ভোগান্তি কমে যাবে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক