লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্রেস্ট ক্যান্সার যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত বেশি হয়ে থাকেন।
পরিবারের কেউ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত, মা, বোনের মতো প্রথম পর্যায়ের আত্মীয়রা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। তাছাড়া সন্তানহীন মহিলা বা বেশি বয়সে সন্তানের জন্ম দেওয়া মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অপরদিকে ব্রেস্ট ফিডিং এই রোগের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া মদ্যপান, রেডিয়েশন, ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন সহ বিভিন্ন ধরনের হরমোন থেরাপি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলারাই এই রোগে ব্যাপক হারে আক্রান্ত হন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষন গুলো হলো ব্রেস্টে শক্ত পিণ্ড, ব্রেস্টের ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা ত্বকে টোল পড়া, নিপলের সঙ্কোচন, নিপল থেকে রক্ত মেশানো তরল, নিপলের আশপাশের ত্বকে আলসার। সাধারণত এই সমস্যাগুলিতে ব্যথা থাকে না বললেই চলে। তবে বেশকিছু সময় ব্রেস্ট লাল দেখায়, যন্ত্রণা হয় এবং ইনফেকশনের মতো লক্ষন দেখা যায়।
বিরল ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ব্রেস্টে কোনও লক্ষণ দেখা না যেতেও পারে। তখন শরীরের অন্য অঙ্গে লক্ষণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বগলে বা কাঁধে শক্ত পিণ্ড দেখা দিতে পারে, রোগ হাড়ে ছড়িয়ে গিয়ে থাকলে পিঠে বা হাড়ে ব্যথা হয়, ফুসফুসে ছড়িয়ে থাকলে কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়লে এই সমস্যাকে একদম হারানো সম্ভব। তাই ব্রেস্টে কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সবখবর/ আওয়াল