মানিকগঞ্জ : দেশের চিকিৎসা সেবায় নার্সিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। সরকার তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নার্সিং কর্মকর্তাদের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেছে। কিন্তু নার্সিং কর্মকর্তাদের পেশা ও পদমর্যাদা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তারা সামাজিক সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে পারলে নার্সিং পেশায় উৎসাহী হবে শিক্ষার্থীরা। এতে এই পেশার সামাজিক মর্যাদা বেড়ে যাবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নিয়োগকৃত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তাদের নিয়োগের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্যদানকালে চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল আওয়াল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ লুৎফর রহমান, বিএমএ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ পংকজ কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাজিব বিশ্বাস ।
হাসপাতালটির নার্সিং সুপারভাইজার আনিছুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সিনিয়র নার্সিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও জান্নাত আরা শিমুল এবং ২০১৮-ব্যাচের নার্সিং কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ২০১৮-ব্যাচের নার্সিং কর্মকর্তা সেঁজুতি চৌধুরী কাকলী।
বক্তব্যদানকালে তারা আরো বলেন, হাসপাতালের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তারা বুদ্ধিমত্তা এবং আন্তরিকতা দিয়ে রোগীর সেবা নিশ্চিত করছেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তিরোগীর সাথে একাধিক ব্যক্তি থাকায় চিকিৎসাসেবা প্রদান বিঘ্নিত হয়।একজন রোগীর সাথে একজন ব্যক্তি থাকার কথা থাকলেও থাকছেন একাধিক ব্যক্তি। নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে বেড়িয়ে যেতে বললেই তারা অভিযোগ করেন নার্সিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।এতে মাঝে-মধ্যেই বিপাকে পড়েন নার্সিং কর্মকর্তারা।এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নার্সিং কর্মকর্তারা।
প্রথম পর্বের আলোচনাসভাশেষে বর্ষপূর্তির কেক কাটেন অতিথি এবং উপস্থিত নার্সিং কর্মকর্তারা। এরপর তারা কালীগঙ্গা নদীতে নৌভ্রমন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিয়োগকৃত ৫৭জন নার্সিং কর্মকর্তা জেলা হাসপাতালে যোগদান করেন। এর মধ্যে ২জন বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। জেলা হাসপাতালে চাকুরীরত ৫৫ জনের মধ্যে ৪জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। বাকী ৫১ জনের সবাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উৎসাহ দিতে সিনিয়র নার্সিং কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।