আসাদুজ্জামান লিমন, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র খালটি বর্তমানে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে । এক সময় বড় বড় স্টিমার ও মালবাহী নৌকা চললেও কালের বিবর্তন আর পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা আর ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনার ফলে ড্রেনে পরিণত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, খালটি পশ্চিম বান্দুটিয়া থেকে শুরু হয়ে সোনাকান্দর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির দুই প্রান্তই মিলেছে কালীগঙ্গা নদীতে গিয়ে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এটি পরিণত হয়েছে অভিশাপে। খালের ওয়াকওয়ে দখল করে খাবার হোটেলসহ নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। এসব হোটেল ও বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে খালটিতে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীদের। পচা দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী। পথচারীদের জন্য নির্মিত ওয়াকওয়ে ও বসার বেঞ্চগুলোও সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে খালের দুপাড়েই পাল্লা দিয়ে চলছে পাড় দখলের প্রতিযোগিতা। সেখানে নিজেদের ইচ্ছেমত স্থাপনা গড়ছেন প্রভাবশালীরা।
উল্লেখ ২০০৮ সালে শহরের একমাত্র খালটির সংস্কার ও শোভাবর্ধনের কাজ হাতে নেয় মানিকগঞ্জ পৌরসভা। এডিবি, জিওবি ও ওপেকের আর্থিক সহায়তায় ৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটির দুপাড় সিসি ব্লক ও জিও টেক্স দিয়ে বাধানো হয়। খালের দুপারে চার ফুট চওড়া ওয়াকওয়ে, সারফেস ড্রেন ও পথচারীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় বেঞ্চ। কিন্তু নির্মাণের কিছু দিন পর থেকেই সিসি ব্লক ধসে পড়ে খালের মধ্যে।
বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী এ্যাড. দীপক ঘোষ বলেন, যে পরিমান ও যে ভাবে খালটি সংস্কার করার কথা ছিল সেভাবে তা করা হয়নি। অবিলম্বে পুনঃ সংস্কার করে খালটিকে প্রবাহিত না করলে এটি মানিকগঞ্জবাসীর জন্য অনেক দুঃখ কষ্ট বয়ে আনবে।
পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, খালটি দখলমুক্ত করে নান্দনিক করা হবে। কেউ যেন এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
সবখবর/ আওয়াল