শহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: বিধবা মানিকজান বেগম (৬০)। স্বামীর সাথে-সাথে হারিয়েছেন পাঁচ সন্তানের মধ্যে ৪ জনকে। তাঁর মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে বসতভিটা টুকুও গ্রাস করেছে সর্বনাশা যমুনা। অভাব অনটন ও নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা মানিকজান বছর কয়েক আগে ঠাঁই নিয়েছে শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়া গ্রামে তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে। কোন রকম একটি ঝুঁপটি ঘড়ে একমাত্র ছেলে কে নিয়ে তার বসবাস। জীবন-জীবিকার জন্য অন্যের বাড়ি কাজ করে চলে মানিকজানের দুঃখের সংসার। এরি মধ্যে মানিকজানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে শিবালয় উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভুমি ও গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প তালিকায় তাকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। বিধবা মানিকজানের ন্যায় ভুমি ও গৃহহীন আরোও ২০টি পরিবারের ঠাঁই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে।
শিবালয় উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের নদীশুকা এলাকায় খাস জমির উপর নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ জমির মধ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমন্বয়ে একটি পাকা ঘরে রয়েছে দুইটি কক্ষ। সাথে রান্নার ঘর, টয়লেট ও গভীর নলকুপসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
সুবিধাভোগীরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গরীব মানুষ। এক টুকরো জমি, পাকা ঘর কখনও স্বপ্নেও দেখিনি। যাদের সহাতায় মাথা গুজার ঠাঁই হচ্ছে আল্লাহ যেন তাদের আরোও ভালো রাখেন।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম রুহুল আমীন রিমন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভুমি ও গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্পে শিবালয়ে ২১টি পরিবার ঠাঁই পাচ্ছে। ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি জানুয়ারির ২০ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডি কনফান্সের মাধ্যেমে আনুষ্ঠানিক এ আশ্রয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উপজেলায় ‘ক’-শ্রেনী ভুক্ত ৩৪১ জনের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ জনকে প্রাথমিক ভাবে এ ঘর প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সুদেব রায় জানান, এ প্রকল্পে প্রতিটি ঘর নির্মানের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ একাত্তর হাজার টাকা। কাঠামোর গুনগত মান ঠিক রেখে ঘরগুলো নির্মান করা হয়েছে।
সবখবর/ আআ