মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসলিমা ও ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী শিউলি।
শুক্রবার দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম পৃথকস্থানে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বালিয়াটি ইউনিয়নের বাহ্রা গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের সাথে একই উপজেলার হাজিপুর বাগান বাড়ি এলাকার ট্রাক চালক ইকবালের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কনের বাড়িতে বিয়ের ধুমধাম চলছিল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই। তাসলিমা বালিয়াটি ঈশ^র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাসলিমার বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, পাশ্ববর্তী মহিষালোহা গ্রামের মোঃ ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে শিউলি আক্তারের বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবরে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শিউলি মহিষালোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে কঠোর ভাবে হুশিয়ারি করা হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স হলেই তাদেরকে বিয়ে দেওয়া হবে বলে তারা অঙ্গীকার করা হয়েছে।