রাশেদ চৌধুরী: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দূর্ভোগ কমেনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দিয়ারচর শাকরাইল বাজার থেকে দক্ষিণ শাকরাইলের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায়। এতে করে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার নয় গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিয়ারচর শাকরাইল থেকে দক্ষিণ শাকরাইল পর্যন্ত শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় সমান কাদা তৈরি হয়। কিলোমিটারের ওই রাস্তায় পায়ে হেঁটে যায়াও হয়ে উঠে কষ্টকর। এই রাস্তা ধরেই দিয়ারচর শাকরাইল, পুরানশাকরাইল, কান্দা শাকরাইল, মিয়াপাড়া শাকরাইল, পূর্বপাড়া, বরপাড়া, খোলাবাড়ি, মুক্তানগর ও দক্ষিণ শাকরাইল এলাকার মানুষকে চলাচল করতে হয়। খানাখন্দ আর কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটো চলাচল নিয়ে প্রচন্ড দূর্ভোগ পোহাতে পোহাতে যেতে হয়। জুতা খুলে পায়ে হেঁটে যেতে গিয়েও অনেকে পা পিছলে পড়ে কাপড় নষ্ট করে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। রাস্তা বেহাল অবস্থা হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ০৯ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। তাদের দাবি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যরা সড়কটি পাকা করে দেয়ার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে।
এলাকার কৃষক মো: বাদল চৌধুরী জানান, আমাদের শিমুলিয়া ইউনিয়নের এইসব গ্রাম পিয়াজ ও মরিচের জন্য বিখ্যাত। রাস্তার কারনে কৃষিপন্য আনা নেওয়ায় ভাড়া বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বরংগাইল ও ঝিটকা বাজারে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নেয়া। এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি, এ সড়কটি যাতে অতি দ্রুত পাকা করা হয়।
স্থানীয় হালিম মেম্বার বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে যেতে হয়। তবে একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয় ও পানি জমে থাকে। সে সময় গাড়ি তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেই যাওয়ায় কষ্টকর হয়ে যায়। আমাদের একটাই দাবি, এই রাস্তা দ্রুত পাকা করা হোক।’
পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মালেক জানান, রাস্তার বেহালদশার কারনে স্বাস্থ্যসেবায় চরম অবনতি ঘটেছে এইসব এলাকার জনগনের। বিশেষ করে প্রসুতি মহিলা ও হৃদরোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে। তাই দ্রুত রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন।
আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের এ তিন কিলোমিটার রাস্তায় ধাপে ধাপে এক কিলোমিটার রাস্তায় ইট সোলিং হলেও বৃষ্টি ও বর্ষায় তার অবস্থা বেহাল। আমাদের প্রতিনিয়ত চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে আমরা আবেদন করেছি সড়কটি পাকা হলে অবহেলিত এসব গ্রামের মানুষের কষ্ট কম হবে এবং যোগাযোগ আরও সহজ হবে। তাদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয়ের পাশাপাশি এ রাস্তার দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবেন।
আ/লি